নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা নিয়ে রিজভীর সমালোচনা

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষত দিনমজুর ও শ্রমিকদের জীবনযাত্রা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটো চালক দলের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দুর্ভোগ কমাতে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখনও লাগামহীন। দিনমজুর, শ্রমিক, এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা চরম কঠিন হয়ে উঠেছে। অথচ সরকার নির্লিপ্ত।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের উপদেষ্টারা প্রশাসনিক কাজের নামে চাকরিজীবীর মতো দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কর্মকাণ্ডে কোনো প্রকার বিপ্লবী গতিশীলতা নেই। জনগণের কষ্টের তোয়াক্কা না করে নিজেদের স্বার্থেই তারা ব্যস্ত।”

সমাবেশে রিজভী অভিযোগ করেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ১৯৭৫ সালের জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের পরিবারের কোনো দায়িত্ব নেয়নি। অথচ তারা জনগণের সামনে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চমক দেখানোর চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে হত্যার লাইসেন্স দিয়ে শেখ হাসিনা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মায়াকান্নার অভিনয় করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “কারাগারে সালমান এফ রহমানের বিশেষ তৎপরতা চলছে। তিনি দেশকে লুটপাটের মাধ্যমে সর্বশান্ত করেছেন। তার লুটের অর্থ কোথায় গেছে, তা জানতে চাই। দেশের সম্পদ নিয়ে এমন দুর্নীতির দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।”

রিজভী জনগণের পক্ষে আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “দেশের মানুষ তাদের দুর্ভোগের সমাধান চায়। অন্তর্বর্তী সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে, তা পালন করতে ব্যর্থ। তাদের এই ব্যর্থতার জন্য জনগণ কোনোভাবেই ক্ষমা করবে না।”

এই সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং জনজীবনের দুর্ভোগ দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।